স্বাস্থ্য ডেস্ক : মহমারি করোনাভাইরাসে সারাবিশ্ব যখন বিপর্যস্ত তখন নতুন এক বিপদের আভাস দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর এক জীবাণুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই জীবাণু মানুষের শরীরে ঢুকতে পারলে মস্তিষ্ক ধ্বংস করে দেয়। যার পরিনাম হয় নির্ঘাত মৃত্যু।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ফ্লোরিডাতে এমন এক বিরল জাতের ‘অ্যামিবা’ খুঁজে পেয়েছেন যেগুলো মানুষের মাথায় ঢুকে মগজ খেয়ে ফেলে। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি ‘নিগলেরিয়া ফাওলেরি’ নামের এই এককোষী প্রাণীর সংস্পর্শে এসেছেন।
এই আণুবীক্ষণিক এককোষী ‘অ্যামিবা’ মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে এবং এটা সাধারণত দ্রুত প্রাণঘাতী হয়ে উঠে। গরম মিষ্টি পানিতে বাস এই অ্যামিবা নাকের ভেতর দিয়ে মানুষের দেহে ঢোকে। তবে এটা একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায় না বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
‘নিগলেরিয়া ফাওলেরি’ নামের এই অ্যামিবার সন্ধান এর আগে পাকিস্তানে পাওয়া যায়। ২০১২ সালে দেশটিতে এই অ্যামিবার কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এটি সাধারণত সাঁতারের সময় নাক দিয়ে প্রবেশ করে। বিজ্ঞানীরা এই অ্যামিবাকে ‘মগজ-খেকো’ বলে থাকেন।
বিপজ্জনক অ্যামিবার ব্যাপারে ফ্লোরিডার হিলসবরা কাউন্টির বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা জনগণকে সতর্ক করছে এই বলে যে, পানির কল বা অন্য কোন উৎস থেকে পানি যেন কোন মতেই নাকে প্রবেশ না করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে এটির সংক্রমণের ঘটনা ঘটলেও ফ্লোরিডাতে এটা বেশ বিরল।
‘নিগলেরিয়া ফাওলেরি’ পানির মাধ্যমে ছড়ায়। মস্তিষ্কে ঢুকে স্নায়ু ধ্বংস করে ফেলে। নদী, পুকুর, হ্রদ ও ঝরনার পানি যেখানে উষ্ণ, সেখানে এ ধরনের অ্যামিবা বাস করে। এছাড়া শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন মাটি ও সুইমিংপুলেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মেলে।
এই অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে পড়লে মারাত্মক কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণ থাকে হালকা মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, জ্বর, পেটব্যথা এবং বমি বমি ভাব। এর পাশাপাশি ঘাড় শক্ত হয়ে যায় এবং এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যেই রোগী মারা যায়। সূত্র: বিবিসি